নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনাকালীন ক্ষতি পুষাতে শ্রমিকদের অতিরিক্ত সময় কাজ করানো হচ্ছে। যার ফলে শ্রমিকরা স্বাস্থ্যগত ও মানসিক ঝুঁকিতে দিনাতিপাত করছে। পরিবারের ব্যয়ভারের কথা চিন্তা করে জীবনকে চরম ক্ষতির মুখে ফেলেও অতিরিক্ত কর্মঘন্টা কারখানায় কাটাচ্ছেন তারা।
গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও মানসিক ঝুঁকির এ কথা জানান বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর মহানগর শাখার সভাপতি শফিউল ইসলাম।
বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, করোনাকালীন প্যান্ডামিক মুহূর্তে দেশের অনেক গার্মেন্টস-কারখানা বন্ধ থাকে। বন্ধকালীন সময়ের ক্ষতি পুষাতে শ্রমিকদের অতিরিক্ত চাপ দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। যার ফলে শ্রমিকরা শারিরীক ও মানসিকসহ নানা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভুগছেন।
তিনি আরো জানান, শ্রমিক ছাঁটাইয়ের বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও করোনার অজুহাতে বিপুল সংখ্যক শ্রমিকদের চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। করোনা ভাইরাসের প্রকোপ কমে গেলে কারখানাগুলোর কার্যক্রম আগের মতো ব্যাপক আকারে বেড়ে যায়। কিন্তু ব্যাপক কাজের চাপ থাকা সত্ত্বেও ছাঁটাইকৃত পুরাতন শ্রমিক বা নতুন করে শ্রমিক নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না। যারফলে কর্মরত শ্রমিকদের অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে এবং কাজ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে শ্রমিকেরা।
বিজ্ঞপ্তিতে শফিউল আলম আরো জানান, করোনার ঢেউয়ে অনেক চড়াই-উতরাই পার করতে হয়েছে শিল্প কারখানার মালিক-শ্রমিকদের। করোনার প্রথম ওয়েব ও দ্বিতীয় ওয়েবের পর এখন শিল্প কারখানা গুলোতে প্রাণ ফিরে আসলেও বেতন-বোনাস পাচ্ছে না একাধিক শ্রমিক। এছাড়াও মালিকদের সুবিধার্থে শ্রমিকদের বেতন দিতে ১০% সুদে ৫ হাজার কোটি টাকা সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনা নিয়েছে মালিকপক্ষ।
অবিলম্বে ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের চাকুরীতে পুর্নবহাল, করোনাকালীন বেতন-বোনাস, কাজের চাপ কমানো এবং শ্রকিদের কাজের নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানান তিনি।
Leave a Reply